
শুধু সচেতনভাবে শ্বাস নেওয়া।প্রতিদিন কয়েক মিনিটের প্র্যাকটিসেই মিলবে এনার্জি, ফোকাস আর মানসিক প্রশান্তি।
বিশ্বাস হচ্ছে না ?
ট্রাই করে দেখুন
ব্রেথওয়ার্ক: সচেতনভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস
আমরা প্রতিদিন হাজারোবার শ্বাস নেই, অথচ খেয়ালই করি না। এই সাধারণ শ্বাস-প্রশ্বাস (রেসপিরেশন) নিয়ন্ত্রণ করে অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম (ANS)। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই শ্বাস-প্রশ্বাসই হতে পারে স্ট্রেস কমানো, এনার্জি বাড়ানো এবং মাইন্ডসেট পাল্টানোর শক্তিশালী হাতিয়ার।
ব্রেথওয়ার্ক মানে হলো ইচ্ছাকৃতভাবে শ্বাস নিয়ন্ত্রণ করা। কয়েকটা সহজ টেকনিক জানলেই আপনি চাইলে শরীরকে মুহূর্তে রিল্যাক্স করতে পারবেন, আবার এনার্জেটিকও করতে পারবেন।
ব্রেথওয়ার্কের ধরন ও ব্যবহার_
১. রিল্যাক্স থাকার জন্য সচেতন শ্বাস
ব্রেথিং মেডিটেশন-
সবচেয়ে সহজ উপায় হলো শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রতি মনোযোগ দেওয়া।
শ্বাস নেওয়া-ছাড়ার অনুভূতি, বাতাসের চলাচল, শরীরের ভেতরে কী পরিবর্তন হচ্ছে লক্ষ্য করুন।
এই মনোযোগ আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে বর্তমান মুহূর্তে, কমিয়ে দেবে মানসিক চাপ আর শরীরের টেনশন।
এক্সারসাইজ ও রিকভারি-
সেটের মাঝে গভীর শ্বাস নিয়ে রিবকেজ প্রসারিত করুন, ফুসফুসের পাশাপাশি হার্টেও রক্তপ্রবাহ বাড়বে।
কোর এক্সারসাইজে খেয়াল করুন, শ্বাস ছাড়ার সময় কোমর ও অ্যাবস আরও শক্তভাবে যেন একটিভ হয়।
ফোম রোলিং করার সময়: নাকে ৪ সেকেন্ডে শ্বাস নিন → ৪ সেকেন্ড ধরে রাখুন ও পেশি টানুন → মুখ দিয়ে ৮ সেকেন্ডে ছাড়ুন।
টেনশন কমাতে কার্যকর টেকনিক-
স্লো এক্সহেল: বেলুন ফোলানোর মতো ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়ুন,নার্ভাস সিস্টেম শান্ত হয়,হার্টবিট ও কমে যায়।
৫-ফিঙ্গার ব্রেথিং: এক হাতের আঙুল ট্রেস করুন—উপর উঠলে “ফুলের ঘ্রাণ নিন”, নিচে নামলে “মোমবাতি নেভান।” কয়েকবার করলেই শরীর-মন হালকা লাগবে।
বক্স ব্রেথিং: ৪ সেকেন্ড শ্বাস নিন → ৪ সেকেন্ড ধরে রাখুন → ৪ সেকেন্ডে ছাড়ুন → আবার ৪ সেকেন্ড ধরে রাখুন।স্ট্রেস ও আতঙ্ক কমাতে দারুণ কাজ করে।
২. এক্সারসাইজ ও রিকভারি উন্নত করতে শ্বাস
ইনটেনস এক্সারসাইজে-
গভীর শ্বাস নিয়ে রিবকেজ ও পেলভিস কাছাকাছি আনুন, এতে পিঠের চাপ কমে, রিকভারি দ্রুত হয়।
থোরাসিক পাম্প-
গভীর শ্বাস নেওয়ার সময় বুকের ভেতরের নেগেটিভ প্রেসার শুধু ফুসফুস নয়, হার্টেও রক্ত টানে। এতে রক্তপ্রবাহ ও রিকভারি বাড়ে।
কোর ওয়ার্কে শ্বাস-
কোর ৬-পাশের ঘনক্ষেত্রের মতো, যার ওপরে ডায়াফ্রাম থাকে।
যেমন প্ল্যাঙ্কে শ্বাস ছাড়ার সময় কোমরের দুপাশের মাসল একটিভ হয়।
এই শ্বাস কৌশল ডায়াফ্রাম, পেলভিক ফ্লোর, ট্রান্সভার্স অ্যাবডোমিনিস, অবলিক্সসহ গভীর কোর মাসল শক্তিশালী করে।
পোস্টপার্টামে মহিলাদের জন্য পেলভিক ফ্লোর রিহ্যাবে বিশেষভাবে ব্রেথওয়ার্ক ব্যবহার হয়।
নিজে নিজে এক্সপেরিমেন্ট করুন-
দ্রুত হাফ শ্বাস নিলে শরীর কেমন প্রতিক্রিয়া করে?
লম্বা, ধীর নিঃশ্বাস নিলে কেমন শান্ত লাগে?
শ্বাসের মাঝে ছোট বিরতি দিলে শরীরে কী পরিবর্তন হয়?
এভাবে আপনি বুঝতে পারবেন শ্বাস কিভাবে আপনার মন, মুড আর এনার্জিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
Molua Khan, Certified Nutrition Consultant & PN1 Coach.