
ক্লিন ইটিং মানে কী?
ক্লিন ইটিং বলতে বোঝায়—
প্রসেসড/প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবার বাদ দিয়ে, ঘরে তৈরি, কম প্রসেসড ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।
যেসব খাবারকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত: প্রচুর সবুজ শাক-সবজি
তাজা ফল
ভাত, রুটি, ওটস
মাছ, ডিম, মুরগি বা লিন মাংস
দুধ, টকদই
বাদাম ও ভালো ফ্যাট (বাটার, ঘি, অলিভ অয়েল, নারকেল তেল ইত্যাদি)
যেসব খাবার এভোয়েড বা বাদ দেয়া উচিত: অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার (চিপস, কুকিজ, সফট ড্রিঙ্কস)
ফাস্ট ফুড
অতিরিক্ত চিনি, সোডিয়াম বা ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার
কেন এটা জরুরি?
খাবারের ক্যালরি ছাড়াও খাবারের গুণমান সরাসরি প্রভাব ফেলে শরীর, মন এবং হরমোনের ওপর।
যখন প্রতিদিনের খাবারে থাকে যথেষ্ট ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন ও ভালো ফ্যাট—
তখন শরীর নিজ থেকেই ব্যালান্সে থাকতে শেখে।
এই অভ্যাস কারা অনুসরণ করতে পারেন? যারা ওজন কমাতে চাইছেন
যারা হেলদি থাকতে চান কিন্তু স্ট্রিক্ট ডায়েটে যেতে চান না
যারা পরিবারসহ হেলদি খাবারের রুটিনে যেতে চান
মনে রাখবেন:
ক্লিন ইটিং মানে পারফেক্ট খাওয়া নয়। বরং দৈনন্দিন জীবনে যদি ৮০% সময় ভালো খাবার বেছে নিতে পারেন, সেটাই যথেষ্ট। বাকি ২০% আপনার লাইফস্টাইল ও পছন্দ অনুযায়ী অ্যাডজাস্ট করা যায়।
সুস্থ থাকার জন্য সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা, তারপরে ধীরে ধীরে ছোট ছোট অভ্যাসের পরিবর্তন।
সুস্থ থাকুন, সচেতন থাকুন।
— Molua Khan