সকালের কফি হতে পারে আপনার লং লাইফ সিক্রেট!

যারা কফি খায় সকালে, তারা বাঁচে বেশি, আর যারা সারাদিন খায়, তারা হারায় উপকারিতা।

বছরের পর বছর আমরা প্রশ্ন করেছি, “কতটা কফি খাওয়া উচিত?”

আসলে প্রশ্নটা হওয়া উচিত ছিল—“কখন কফি খাচ্ছেন?”

একটা বড় গবেষণায় ৪০,০০০ এরও বেশি মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কফির উপকারিতা নির্ভর করে সময়ের উপর।

PMID: 39776171

শুধু সকালে কফি খান, তাদের..

– হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ৩১% কম

– সবধরনের মৃত্যুঝুঁকি ১৬% কম

কিন্তু সেই একই কফি যদি সারাদিনে ভাগ করে খান—এই উপকার একদম কমে যায়।

১০ বছর ধরে চলা গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন ২টি প্যাটার্ন:

– শুধু সকালে কফি = বিশাল স্বাস্থ্য উপকার

– সারাদিন কফি = কার্যকর কোন উপকার নেই

– একই পরিমাণ কফি ভিন্ন সময়ে সম্পূর্ণ আলাদা ফলাফল।

যারা সকালে কফি খান, তারা পেয়েছেন:

– ৩১% কম কার্ডিওভাসকুলার মৃত্যুঝুঁকি

– ১৬% কম সব ধরনের মৃত্যুঝুঁকি

– ১ কাপ হোক বা ৪ কাপ—উপকারিতা একই

– Regular বা decaf—দুটোতেই সুরক্ষা

দুপুর বা বিকেলের কফির সমস্যা কী?

– এটা আপনার সার্কাডিয়ান রিদম নষ্ট করে

– মেলাটোনিন (ঘুম ও রিল্যাক্সেশনের হরমোন) কমিয়ে দেয়

– এর ফলে রক্তচাপ বাড়ে, স্ট্রেস বাড়ে, হার্টের ক্ষতি হয়

আর একটা ব্যাপার হলো—

সকালে শরীরে ইনফ্লেমেশন বেশি থাকে, আর তখনই কফির অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি পলিফেনল সবচেয়ে কার্যকরভাবে কাজ করে।

কফি সারাদিন বিভিন্ন সময়ে খেলে এই টার্গেটেড ইফেক্ট দুর্বল হয়ে যায়।

তাই এখন থেকেই রুটিন বদলে ফেলুন:

কফি সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টার ভেতরেই শেষ করুন

বিকেলে এনার্জি দরকার মনে করলে, কফি না খেয়ে ট্রাই করুন—

১।পানি, ক্যাফেইন থাকে না এমন পানীয়।

২। ৫–১০ মিনিট হাঁটা বা একটু রোদে দাঁড়ানো

সঠিক সময়ে কফি—শরীরের পক্ষে যায়। দেরিতে কফি—শরীরের বিরুদ্ধে কাজ করে।সময়টাই এখন সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর।

আপনি শেষ কফিটা সাধারণত কখন খান?

কমেন্টে জানান আর এই পোস্টটা শেয়ার করুন সেই বন্ধুদের সঙ্গে যারা এখনও বিকেলে কফি না খেয়ে থাকতে পারেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *